রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে এক ‘সন্দেহভাজন’ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়ার পর সে নিজেকে নবম শ্রেণির ছাত্র দাবি করে। সে বলে, ‘আমি এখানে এসেছি, দুইটা ইট সংগ্রহ করেছি ধানমণ্ডি ৩২- এর।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে এই কিশোরকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধানমণ্ডি অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিষিদ্ধ কার্যক্রম আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২-এর সামনে তাকে সন্দেহভাজন মনে হওয়ায় জনতা ঘিরে ধরে। এ সময় ছুটে আসে পুলিশ ও সাংবাদিকরা। তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছিল।
কেন ধানমণ্ডি ৩২-এ এসেছে জানতে চাইলে কিশোরটি জানায়, প্রত্নতাত্বিক মূল্য আছে, এমন এলাকায় ভ্রমণ ও স্মারক সংগ্রহ তার শখ। সে বলে, ‘আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন জিনিসপত্র সংগ্রহ করি। এটা হচ্ছে আমার শখ। ময়মনসিংহের শশীলজ থেকে সংগ্রহ করেছি।
মুক্তাগাছার রাজবাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি। কুমিল্লার ময়নামতি থেকে সংগ্রহ করেছি।’
বাসায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে এখানে এসেছে জানিয়ে সে বলে, ‘গাজীপুর জেলা গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে জুলাই বক্তব্যদান অনুষ্ঠানে আমি ফার্স্ট হয়েছি। বাসায় বলে এসেছি যে আমি ঘুরতে যাব। আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।
তোমার ব্যাগে ইট ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, ‘হ্যাঁ, ইট ছিল। ধানমণ্ডি ৩২-এর ইট। আমি সংগ্রহ করে রাখি প্রত্নতত্ত্ব জিনিসগুলো। ইটই ছিল আর দুইটা বই ছিল।’
আটক কিশোরের পরনে প্যান্ট, কোট ও টাই ছিল। তার হাতে একটি ব্যাগও ছিল। আটকের পর তাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিএমপির ধানমণ্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটক কিশোরের আচরণ সন্দেহজনক। তার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। সে নিজেকে কখনো শিক্ষার্থী, কখনো ছাত্রদলের, আবার কখনো ছাত্রশিবিরের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।’







