১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

গাজায় ৭০ হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা, ঝুঁকিতে বাসিন্দারা!

গাজায় ৭০ হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা, ঝুঁকিতে বাসিন্দারা!

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

ছবি: সংগৃহীত





গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ব্যবহৃত অন্তত ৭০ হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা ও মাইন মাটির নিচে পড়ে আছে, যা বাসিন্দাদের জন্য এক অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ তৈরি করেছে। যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল গাজায় প্রায় দুই লাখ টন বিস্ফোরক ফেলেছে, যার শক্তি জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে ছয় গুণ বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, অবিস্ফোরিত  বোমা ও মাইনের কারণে যুদ্ধবিরতির পর যারা গৃহে ফিরছে, তারা ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক অ্যান-ক্লেয়ার ইয়ায়েশ বলেছেন, এই পরিস্থিতি শুধু মানবিক সংকট নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার জন্যও এক গভীর হুমকি। সংস্থাটি মাইন অপসারণের জন্য জরুরি সরঞ্জাম পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে গেলো জানুয়ারিতে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস জানিয়েছিল, গাজায় নিক্ষিপ্ত বোমা ও মাইনের প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ এখনও নিষ্ক্রিয় রয়ে গেছে। অর্থাৎ, হাজার হাজার বোমা এখনো বিস্ফোরিত হয়নি।

নিরাপত্তার কারণে মাইন অপসারণ দলগুলো সেখানে পুরোপুরি কাজ শুরু করতে পারেনি। সাবেক ব্রিটিশ সামরিক ডিমাইনার নিকোলাস অর এএফপিকে বলেন, ইসরায়েল হামাসের কার্যক্রম সন্দেহে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণের অনুমতি না মেলায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, মানবিককর্মীরাও বিস্ফোরক ঝুঁকিতে রয়েছেন। অবিস্ফোরিত অস্ত্র ধ্বংসে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এখনও মেলেনি, যদিও অন্তত তিনটি সাঁজোয়া যান প্রস্তুত রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বোমাগুলোর অবশিষ্টাংশ গাজার মাটি, পানি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে।

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর