কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ‘চর বিজয়’ এখন পরিবেশ ও পর্যটন বিষয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় দুই দশক আগে উদ্ভব হলেও মাত্র ৯০ হেক্টর আয়তনের এ নবীন দ্বীপটি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন পর্যটন ও অপরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম দ্বীপটির টেকসই ভবিষ্যৎকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখা চর বিজয়ে প্রায় আড়াই হাজার তাল, খেজুর, নারিকেল ও বটগাছের চারা রোপণ করে।
পৌর শাখার সাবেক আমির মাঈনুল ইসলাম মান্নান এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। সংগঠনের দাবি, চরটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আগে সবুজায়ন জরুরি।
তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, চর বিজয়ের মতো ভঙ্গুর উপকূলীয় ভূখণ্ডে ম্যানগ্রোভ ছাড়া অন্য গাছ টিকবে না। চরটি নিয়মিত জোয়ারে তলিয়ে যায়, মাটি লবণাক্ত ও ভাঙনপ্রবণ।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব কাউসার হামিদ বলেন, চর বিজয়ে শুধু চারা লাগানো নয়, গাছের পরিচর্যা, পর্যায়ক্রমিক তদারকি ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পুনরায় রোপণ করাও জরুরি। যতদিন না গাছগুলো পূর্ণাঙ্গ সবুজ বেষ্টনীতে রূপ নিচ্ছে, ততদিন বনবিভাগের নিয়মিত তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। শীতকালে চর বিজয়ে পর্যটকদের জন্য পরিবেশবান্ধব নির্দেশনা জারি করা হবে।
সনাক পটুয়াখালী সভাপতি শহিদুর রহমান বলেন, সবুজায়নকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রূপ দিলে ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়ে। স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ ও গবেষকদের সমন্বয় ছাড়া টেকসই বনায়ন সম্ভব নয়।







