১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের কারণে পরিবার দেউলিয়া, তাই খুন করেছেন: আসামির স্বীকারোক্তি

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের কারণে পরিবার দেউলিয়া, তাই খুন করেছেন: আসামির স্বীকারোক্তি

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

শিনজো আবেছবি: এএফপি



জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হামলাকারী তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি। টোকিওর একটি আদালতে বিচার শুরুর প্রথম দিনই ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, ‘সবই সত্য।’ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

২০২২ সালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারের সময় শিনজো আবেকে স্থানীয়ভাবে তৈরি বন্দুক দিয়ে গুলি করেন ইয়ামাগামি। কয়েকটি গুলি তাঁর শরীরে লাগে। পরে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৬৭ বছর বয়সী আবে। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ হত্যাকাণ্ডের পর আবের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ইউনিফিকেশন চার্চের (যা মুনিজ নামে বেশি পরিচিত) মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।

অভিযুক্ত ইয়ামাগামি তদন্তকারীদের বলেন, শিনজো আবে ওই গির্জার জন্য প্রচার চালিয়েছিলেন। তাই তাঁর মা ওই চার্চে বিপুল অর্থ দান করেন। আর এ কারণেই তাঁদের পুরো পরিবার দেউলিয়া হয়ে যায়।

ইয়ামাগামির অভিযোগ, গির্জার প্রতি আস্থার প্রমাণ দিতে তাঁর মা প্রায় ১০ কোটি ইয়েন (প্রায় ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার) দান করেছিলেন। এ অভিযোগের জেরে গির্জার কর্মকাণ্ডের ওপর তদন্ত হয়। চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়। চলতি বছরের মার্চে টোকিও আদালত গির্জাটি ভেঙে দেওয়ার নির্দে

তবে ইয়ামাগামির মা এখনো ওই গির্জার প্রতি অনুগত। ছেলের কর্মকাণ্ড তাঁর বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করেছে বলেও তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

ইয়ামাগামির বিচার আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। তিনি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, যে অস্ত্র তিনি তৈরি করেছিলেন, তা আইন অনুযায়ী ওই শ্রেণিতে পড়ে না।

জাপানে বন্দুক সহিংসতার হার খুবই কম। আবে হত্যাকাণ্ডের পর দেশটি ঘরে তৈরি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন আরও কড়াকড়ি করেছে।

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর