১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

ধমনীতে কোলেস্টেরল জমলে কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?

ধমনীতে কোলেস্টেরল জমলে কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে?

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

হার্টের রোগের প্রাথমিক অঙ্কুর হিসেবে চিহ্নিত হয় কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে ধমনীতে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যার ফলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা আসে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। সরল ভাষায় বলতে গেলে, কোলেস্টেরলই হলো হার্টের সমস্যার শুরু। তাই, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত চেক-আপের মাধ্যমে রক্ত পরীক্ষা করে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা জানা গেলে রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়। যদিও প্রতি তিন মাস অন্তর পরীক্ষা করা সম্ভব না হলে, অন্তত ছয় মাসে একবার পরীক্ষা করানো উচিত। কিন্তু তা না হলে কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে।

হার্ট বিশেষজ্ঞ ড. জেরেমি লন্ডন এক পডকাস্টে বলেছেন, চোখের তলায় হলদেটে চর্বি জমা, বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি হল কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে এমন লক্ষণ।
তবে আরও কিছু নীরব উপসর্গ রয়েছে যেগুলি কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে হতে পারে, কিন্তু অনেকেই সেগুলো উপেক্ষা করেন।

পায়ের ব্যথা বা ভারী অনুভূতি:
কোলেস্টেরল ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ ধমনীর সাথে সাথে পায়ের রক্তনালীকেও প্রভাবিত করে, যা পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের কারণ হতে পারে। এতে পায়ে ব্যথা, শিরশিরানি, ভারী অনুভূতি, বা হাঁটতে গেলে পেশীতে ব্যথা হতে পারে। অনেকেই এটাকে বয়সজনিত বা ক্লান্তির সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যান, কিন্তু আসলে এটি কোলেস্টেরল সমস্যার কারণে হতে পারে।
পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া:
কোলেস্টেরল ধমনীর ভিতরে জমে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে পায়ের পাতা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠাণ্ডা অনুভূতি বা পায়ের নখ পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যেতে পারে। এসব লক্ষণ থাকলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত।

কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাওয়া:
রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে শরীরের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে, সামান্য হাঁটাচলা, দৌড়ানো বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠাও কঠিন হয়ে যেতে পারে এবং হাঁপিয়ে পড়া সম্ভব।
এই ধরনের উপসর্গগুলোও কোলেস্টেরল সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, তাই এসবের দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।

তাহলে, শরীরের কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র : আনন্দবাজার

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর