পদ্মার চরে পুলিশের ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ অভিযান। আজ রোববার সকালে পাবনার ঈশ্বরদীর আক্তারের ঘাট এলাকায়
পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ‘কাকন বাহিনী’র ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়া দৌলতপুরের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ফাস্ট লাইট। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের এই অভিযানে ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, অভিযানে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র, মাদক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কাকন বাহিনীর ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত আছে। আজ এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় বাহিনীপ্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ বাহিনীর সদস্যদের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। এটিসহ তাঁদের বিরুদ্ধে, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবর অনলাইন সংস্করণে ‘কথার আগে গুলি চালায় “কাকন বাহিনী”, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।







