১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

ভৈরবে পুলিশের উপস্থিতিতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, যাত্রীরা আহত

ভৈরবে পুলিশের উপস্থিতিতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, যাত্রীরা আহত

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভৈরব, কিশোরগঞ্জ
২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত


​গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেনে বর্বরোচিত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, রেলওয়ে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতকারীরা পাথর ছুঁড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
​ঘটনার বিবরণ
​জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস (নামটি কাল্পনিক, তবে জনপ্রিয় ট্রেনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে) ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার পর পরই হঠাৎ করে হামলার শিকার হয়। একদল দুর্বৃত্ত ট্রেনের বিভিন্ন বগি লক্ষ্য করে অনবরত পাথর ছুঁড়তে থাকে। এতে ট্রেনের ‘গ’ এবং ‘ঘ’ নম্বর বগির বেশ কয়েকটি জানালা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
​আহত যাত্রীদের বেশিরভাগই কাঁচের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ও চোখ গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা যায়। ভৈরবে ট্রেনটি থামার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
​পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
​এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী জানান, হামলার সময় প্ল্যাটফর্মের কাছেই রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটকাতে বা ধাওয়া করতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
​আহত এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই হামলা হলো, পুলিশ ছিল, কিন্তু তারা দেখল আর আমরা আহত হলাম। যদি পুলিশের সামনেই এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে ট্রেনের নিরাপত্তা কোথায়?”
​জিআরপি’র বক্তব্য
​এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেছিল। তবে এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে এবং রেলে নিরাপত্তা বাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
​উল্লেখ্য, ভৈরব অঞ্চলে চলমান ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা এটি নতুন নয়। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে ২০ জন যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাটি রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।





নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর