জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছেন ময়মনসিংহের আবদুল মজিদ ও ঢাকার মাহিদুল ইসলাম। সেঞ্চুরিসংখ্যা তিন হয়নি মুমিনুল ৯২ রানে আউট হওয়ায়।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ
জাতীয় ক্রিকেট লিগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের মাহিদুল ইসলাম (বাঁয়ে) ও ময়মনসিংহ বিভাগের আবদুল মজিদবিসিবি
মজিদের সেঞ্চুরি ও হায়দারের ঝড়ে ময়মনসিংহের ৫৫৫
জাতীয় ক্রিকেট লিগে নবাগত ময়মনসিংহ দারুণভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ নাঈম ও মাহফিজুল ইসলামের পর এবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবদুল মজিদ। অধিনায়ক শুভাগত হোম ও আবু হায়দারও খেলেছেন ঝোড়ো ইনিংস। তিনজনের ব্যাটে ভর করে ময়মনসিংহ ৬ উইকেটে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে বল হাতে শুরুও করেছে ভালো—প্রতিপক্ষ রংপুর দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৮ রান তুলে ফিরেছে ড্রেসিংরুমে।
২ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ময়মনসিংহ। তবে ২২ রান যোগ করতেই পড়ে যায় আরও দুটি উইকেট। এরপর মজিদ ও শুভাগত গড়েন ১৩০ রানের জুটি। ৮৬ বলে ৬৫ রান করে শুভাগত আউট হওয়ার পর মজিদ জুটি গড়েন তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে (২১)। ষষ্ঠ উইকেটে আসে ৩৪ রান। এরপর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৪২ বলেই সপ্তম উইকেটে তোলেন ৭৭ রান। ৩৪ বলে ৫ ছক্কায় ৬০ রান করেন হায়দার। অপর প্রান্তে ১৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মজিদ। ১১০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ১৪তম সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি হাতছাড়া মুমিনুলের
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক। আগের দিনের স্কোর ছিল ৮৪, অর্থাৎ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে। কিন্তু দিন শুরু হতেই রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হয়ে আউট ৯২ রানে। ৪ উইকেটে ২৬০ রান নিয়ে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ৩৫৮ রানে। বরিশাল অধিনায়ক তানভীর ইসলাম ৫৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ১১৫ রান তুলে।
মিরপুরে খুলনার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খুলনার শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ—প্রথম দিনে অলআউট হয় মাত্র ১২১ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৬৮ রান তুলে। এখনো রাজশাহীর প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে।

৮৯ রান করেছেন রাজশাহীর সাখির হোসেন বিসিবি
রাজশাহীর ইনিংসও খুব একটা উজ্জ্বল হয়নি। ৩ উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি অলআউট হয় ২৬৮ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন সাখির হোসেন। ১৬৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর নবম উইকেটে আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদের সঙ্গে যোগ করেন ৬২ রান, আর দশম উইকেটে নাহিদ রানার সঙ্গে ৩৮। সাখির আউট হওয়ার পর শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস। নাহিদ রানা ছিলেন অপরাজিত, ৯ বলে শূন্য রানে।
খুলনার হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাহিদুল ইসলাম নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট।
মাহিদুল-সুমনে উদ্ধারের গল্প
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ৫ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ঢাকা বিভাগ। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ৩১০ রানে। দলের ইনিংস টেনে তোলেন অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম। ২৭২ বলে ১৩ চারে ১২২ রান করে আউট হয়েছেন ইনিংসের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি ও ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।

ইনিংস শেষে ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম বিসিবি
ঢাকা ১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সুমন খানকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১২৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন মাহিদুল। ৯৯ বলে ৭৪ রান করেন সুমন—এটিও তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
সিলেটের দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। দিন শেষে সিলেট বিনা উইকেটে ৩৩ রান তুলে স্বস্তিতে দিন শেষ করেছে।







