
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
লন্ডন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ৪ রাতের হোটেল রুম ভাড়া বাবদ ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ের একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিলাসবহুল একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার একক কক্ষের জন্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের ফেসবুক পোস্ট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জুন ২০২৫ তারিখে যুক্তরাজ্য সফরে যান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। তাঁদের অবস্থানের জন্য লন্ডনের অন্যতম ব্যয়বহুল ‘দ্য ডরচেস্টার’ (The Dorchester) হোটেলে মোট ৩৭টি রুম চার রাতের জন্য রিজার্ভ করা হয়।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ৩৭টি রুমের চার রাতের মোট ভাড়া বাবদ সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৩২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় (১ পাউন্ড সমান ১৬৬ টাকা হিসেবে) প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এই মোট ব্যয়ের হিসাবের ভিত্তিতেই শুধু প্রধান উপদেষ্টার কক্ষটির ৪ রাতের জন্য বিল গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা (অন্যান্য সূত্রে ৪০ লাখ টাকাও বলা হয়েছে)।
প্রধান উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিদেশ সফরে নিরাপত্তা ও প্রটোকল অনুযায়ী ভালো মানের হোটেলে থাকাটা স্বাভাবিক হলেও, ৪ রাতের জন্য একক কক্ষের এত বিপুল অঙ্কের ভাড়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের অর্থ এভাবে খরচ হওয়া নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যয়ের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে – বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যেখানে সরকার কৃচ্ছ্র সাধনের কথা বলছে, সেখানে এমন বিলাসবহুল ব্যয় কতটা যৌক্তিক?
এই বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই তা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।







