রাজধানীর সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে গুলি করে একজনকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম তারিক সাইফ মামুন। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তাকিক সাইফ মামুন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী।
সকাল ১১টার দিকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাছে মামুনের বুকে গুলি করে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) আহসান উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সূত্রপুরে নিহত মামুন একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
নিহত মামুনের বাবার নাম এসএম ইকবাল।
তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।
নিহতের খালাতো ভাই হাফিজ বলেন, তারিক সাইফ মামুন সাধারণ মানুষ। কি কারণে কারা তাকে হত্যা করল জানি না। সে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।
এর আগেও মামুন হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি মামুনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তখন ভুবন চন্দ্র শীল নামে একজন আইনজীবী মোটরসাইকেলে করে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তার মাথায় একটি গুলি লাগে। পরে তিনি মারা যান।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন।
তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাইফ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।
২০২৩ সালে জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আসেন মামুন। তিনি ২৬ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন।







