দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাঁর প্রত্যাবর্তনের সুনির্দিষ্ট তারিখ খুব শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।”
দেশে ফেরার তারিখের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, “খুব শিগগিরই নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।”
প্রেক্ষাপট ও প্রস্তুতি
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থান করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তাঁর দেশে ফেরার খবরটি এখন দেশের রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি অভ্যন্তরীণভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। বিশেষ করে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। তাঁর দেশে ফেরা উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিমানবন্দর থেকে বাসভবন পর্যন্ত যাত্রা নিরাপদ করতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহারের মতো বিষয়ও দলের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
নেতৃত্বের নির্দেশনায় তারেক রহমান লন্ডন থেকেই দিনরাত নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁর প্রত্যাবর্তনের খবরটি বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে







