১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

দুই থানার সীমান্তে অজ্ঞাত লাশ, দায়িত্ব নিতে গড়িমসি

দুই থানার সীমান্তে অজ্ঞাত লাশ, দায়িত্ব নিতে গড়িমসি

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

স্টাফ রিপোর্টার (চট্টগ্রাম)

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা পুলিশের মধ্যে দেখা দেয় দায়িত্ব নিয়ে বিভ্রান্তি ও মতবিরোধ। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ২নং বড় উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর ফজিল খান হাটের পূর্ব পাশে মহতুপাড়া খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে ফ্রেন্ড ডেইরি খামারের পাশের খালের মাঝখানে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী প্রথমে মনে করেন লাশটি আনোয়ারা থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে। তারা বিষয়টি আনোয়ারা থানা পুলিশকে জানালে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। 

পরিদর্শন শেসে ‘লাশটি কর্ণফুলী থানা এলাকায় পড়েছে’—এ কথা জানিয়ে ফিরে যান। পরে স্থানীয়রা কর্ণফুলী থানা পুলিশকে খবর দিলে ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করে।

আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, খালের মাঝখানে লাশটি ছিল। স্থানটি দুই থানার সীমান্তে হওয়ায় প্রথমে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। পরে নিশ্চিত হই, লাশটি কর্ণফুলী থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে। তাই আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করিনি।

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. শরীফ হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের পর আমাদের ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হন যে লাশটি আনোয়ারা থানার সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় পড়েছে। মানবিক বিবেচনায় আমরা লাশ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর