১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ■ ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

/

গাইবান্ধায় পিটিয়ে হত্যা: বাকি দুজনেরও পরিচয় পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তার নেই

গাইবান্ধায় পিটিয়ে হত্যা: বাকি দুজনেরও পরিচয় পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তার নেই

||

দৈনিক মাটির কণ্ঠ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Print

পিটিয়ে হত্যা



গাইবান্ধায় গরুচোর সন্দেহে পিটুনিতে নিহত তিন ব্যক্তির মধ্যে বাকি দুজনের পরিচয় মিলেছে। তাঁরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহাপাড়া হেরুঞ্জ গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে শাহীনুর মিয়া (৩১) এবং একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তরপাড়া সিহালী গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে বুলবুল মিয়া (৩৮)। এর মধ্যে বুলবুল হাসপাতালে মারা যান।

এর আগে গতকাল রোববার একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর নাম কাউসার আলী (৩২)। তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দামপাড়া গ্রামের আলেব্বর আলীর ছেলে।

নিহত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি আজ সোমবার প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনেরা গাইবান্ধায় এসে লাশ শনাক্ত করে। তিন ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের মাজারপাড়া এলাকার আবদুস সালামের পাকা গোয়ালঘরের দেয়াল ভেঙে তিনটি গরু চুরি করেন কয়েক ব্যক্তি। গরুগুলো পিকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজন চুরির বিষয়টি টের পেয়ে যান। তাঁরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। পরে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা হাতে পিকআপের পেছনে তাঁদের ধাওয়া করেন। চুরি করতে আসা ব্যক্তিরা মাজারপাড়া গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী নাসিরাবাদ গ্রামের দিকে পালিয়ে যান।

সেখানে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পিকআপ থেকে তিনজন রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাঁপ দেন। গরু পিকআপ রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাঁদের পুকুর থেকে তুলে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন এবং অপর একজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত দুজনকে মৃত অবস্থায় এবং একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। আহত ব্যক্তিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে এই ঘটনায় গতকাল রোববার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক তৌফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

এ প্রসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে

নিউজটি ‍শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

আরো খবর