দেশে আটার দাম বেড়েছে
সকালে নাস্তার রুটি কিংবা বিকেলে চায়ের সাথে বিস্কুট। অথবা সন্ধার পরোটা-মোঘলাই থেকে হালের ফাস্টফুড, বাঙালির রসনা বিলাসের অনেকটাজুড়েই প্রাধান্য আটা-ময়দার তৈরি খাবারের।
তাই এই পণ্যের দাম বাড়লেই সীমিত ও মাঝারি আয়ের মানুষের মাসকাবারি খরচে সরাসরি টান পড়ে, তেমনি প্রভাব পড়ে বেকারি ও রেস্তোরাঁ ব্যবসাতেও।
সেই আটার দামই বেড়েছে আবার। দশ-বারোদিন আগেও খুচরা বাজারে ২ কেজির মোড়কজাত আটা বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়৷ কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে সেই একই প্যাকেট এখন খরিদ করতে হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। খোলা আটার দাম সামান্য বাড়লেও মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতাদের পাশাপাশি বিপাকে বেকারি ও রেস্তোরাঁ মালিকরাও। হঠাৎ এমন দরবৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৩ বছর ধরেই গমের দাম নিম্নমুখী। গম আমদানিতে কোনও ট্যাক্সও নেই। প্রশ্ন উঠেছে, গম থেকে তৈরি আটার এমন দরবৃদ্ধি কেন?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলারমূল্য এখন ১২২ টাকা ছাড়িয়েছে। এছাড়া, পরিবহন খরচ, এলসি খোলাসহ নানা জটিলতায় কমেছে আটার আমদানি ও সরবরাহ।
বাংলাদেশ মূলত রাশিয়া, ইউক্রেন, ব্রাজিল থেকে গম আমদানি করে থাকে। তবে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কিছুটা বেশি দামে গম আমদানি করছে সরকার। সেটিকেও কারণ বলছেন কেউ কেউ।
তবে, মোট আমদানির ১০ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তাই দামবৃদ্ধির পেছনে বেশিরভাগ যুক্তিই খোঁড়া, বলছেন বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতি (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বললেন, এটার (যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি) প্রভাবটা পড়তে তো সময় লাগবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেটা আমদানি করছি, সেটি আসলে আমাদের মার্কেটের শেয়ার কতটুকু, সেটাও বিবেচনার বিষয়। আসলে যেটা হয়, অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেটা করে, সেটি হলো যে কোনও একটা অজুহাত পেলেই তারা এই বাজার অস্থির করে দেয়।
বছরে দেশে আটার চাহিদা ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টন। ৮৫ শতাংশই গম আমদানি করে পূরণ করা হয়৷







