নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে অবশেষে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দিয়ে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নিয়োগ সুপারিশের জন্য এই তথ্য সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠির মূল বিষয়:
তথ্য সংগ্রহের অনুমতি: মন্ত্রণালয় এনটিআরসিএ-কে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্মতি জানিয়েছে।
সময়সীমা নির্ধারণ: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এনটিআরসিএ মূলত ২০২৫ সালের ৩০ জুন অথবা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহের অনুমতি চেয়েছিল। মন্ত্রণালয় এই দুই তারিখের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুমোদন করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উদ্দেশ্য: এই তথ্য সংগ্রহের মূল লক্ষ্য হলো পরবর্তী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া।
এনটিআরসিএ-এর প্রস্তুতি:
মন্ত্রণালয়ের সম্মতিপত্র পাওয়ার পরই এনটিআরসিএ শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে।
সময়সীমা: এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শূন্য পদের তথ্য প্রদানের জন্য প্রায় ১০ দিন সময় দেওয়া হতে পারে।
ই-রেজিস্ট্রেশন: ইতোমধ্যেই প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে, যা শূন্য পদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) সংগ্রহের প্রাথমিক ধাপ।
মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ-এর ভিন্নমত:
তবে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ-এর মধ্যে একটি ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অবস্থান: মন্ত্রণালয় চায়, সংগৃহীত শূন্য পদগুলোর একটি অংশ শিক্ষক বদলি চালু করার জন্য সংরক্ষণ করা হোক।
এনটিআরসিএ-এর অবস্থান: অন্যদিকে, এনটিআরসিএ চাইছে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশবঞ্চিত প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যককে সুপারিশ করতে। তারা মনে করছে, ১৯তম নিবন্ধন থেকে নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে, তাই এই সুযোগটি কাজে লাগানো জরুরি।
এই ভিন্নমত সত্ত্বেও, দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে এবং শিক্ষিত বেকার তরুণদের নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাখাতে শূন্যতা পূরণে উভয় কর্তৃপক্ষই কাজ করছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ: মন্ত্রণালয় কর্তৃক শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ হলে, আপনি কি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান?







